|
প্রশ্ন: এটি একটি বিরল প্রশ্ন৷ আমার জন্য, ঈশ্বরকে কেন নিজের প্রাণ দিতে হবে?
উত্তর: এর কারণ হল, বাইবেল আমাদের বলে যে মানব-জাতির পাপের কারণে সমস্ত মানুষকে মৃত্যুদণ্ড—চিরতরে বিনাশের দ্বিতীয় মৃত্যু দেওয়া হয়:
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আজ্ঞা দিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও; কিন্তু সদসদ্-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে৷
আদিপুস্তক 2:16,17
কেননা পাপের বেতন মৃত্যু;…
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 6:23
যখন প্রভু যীশু স্বর্গ হইতে তাঁহার পরাক্রমশালী দূতগণের সহিত জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে প্রকাশিত হইবেন, এবং যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমুচিত দণ্ড দিবেন৷ তাহারা প্রভুর মুখ হইতে ও তাঁহার শক্তির প্রতাপ হইতে অনন্ত কালস্থায়ী বিনাশরূপ দন্ড ভোগ করিবে;
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র 1:8,9
পরে মৃত্যু ও পাতাল অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল; তাহাই, অর্থাত্ সেই অগ্নিহ্রদ, দ্বিতীয় মৃত্যু৷
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 20:14
ঈশ্বর যদি নিজের মুক্তির পরিকল্পনা অনুসারে মানব-জাতির পাপ নিজের উপর নিয়ে এবং তাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়ে কিছু লোকের (সকলের নয়) উদ্ধার নিশ্চিত না করতেন তাহলে সমস্ত লোক নিজ নিজ পাপের কারণে মারা যেত৷ সেই কারণে তিনি তাদের স্থান গ্রহণ করেন৷ অবাক-করা ঘটনা হল বাইবেলের সুসমাচারে ঘোষণা করা হয়েছে যে ঈশ্বর কিছু বিদ্রোহী পাপীদের পাপ নিজের উপর নিয়েছেন (পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার আগে থেকেই) এবং তাদের প্রত্যেককে চিরতরে বিনাশ হয়ে যাওয়ার সমান দণ্ড ভোগ করতে হত:
…তিনি জীবিতদের দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইলেন: আমার জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তাঁহার উপরে আঘাত পড়িল৷
যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 53:8
তাহাতে পৃথিবী-নিবাসীদের সমস্ত লোক তাহার ভজনা করিবে, যাহাদের নাম জগত্পত্তনের সময়াবধি হত মেষশাবকের জীবন পুস্তকে লিখিত নাই৷
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 13:8
ঈশ্বরকে (যীশু খ্রীষ্টের রূপে ব্যক্তিকে), মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর নির্বাচিত কিছু নির্দিষ্ট লোকের পাপের কারণে অত্যধিক অপমানিত হতে হয় ও অবশেষে দণ্ড দিতে হয়৷ যীশুর বদলি কার্যের কারণে এই নির্বাচিত লোকেরা কখনও চিরতরে বিনাশ হবে না৷ যীশুর প্রায়শ্চিত্তপূর্বক মৃত্যুর কারণে, ঈশ্বরের নিয়মের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হয়েছে:
তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞানে অনেককে ধার্মিক করিবেন, এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন৷
যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 53:11
পাপের ঋণ থেকে একবার সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হলে, কখনও এমন স্থিতি আসবে না যখন লোকেদের, নিজের পাপের জন্য ঈশ্বরের নিয়মের জবাব দিতে হবে৷ তারা নিয়মের দণ্ড থেকে মুক্ত হবে:
অতএব এখন, যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে তাদের প্রতি কোন দণ্ডাজ্ঞা নাই, কেননা তারা মাংসের নয় আত্মার বশে চলে৷
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 8:1
প্রশ্ন: ভাল, কিছু লোকের জন্য ঈশ্বরের "প্রাণ দেওয়ার" ব্যাপারে চিন্তা করা আমার পরম বিস্ময়কর মনে হয়; কিন্তু এর আগে আমায় এটি স্বীকার করতে হবে যে, আমি এও জানিনা তাঁর অস্তিত্ব আছে কি না৷ ঈশ্বর আছে কি না কেউ কীভাবে তা জানতে পারবে?
উত্তর: কিছু লোক দাবি করে কোন ঈশ্বর নেই অথবা তারা নিশ্চিত নয় আদৌ সে আছে কি না৷ যদিও ঈশ্বরের উপস্থিতি মানুষের মতামতের উপর নির্ভর করে না৷ বাইবেলে একটি অখণ্ডণীয় তথ্য রূপে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ঈশ্বর এক পরম সত্য:
আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিলেন৷
আদিপুস্তক 1:1
আমাদের আশে-পাশের বিশ্ব, আমাদের এই বিষয়ের প্রমাণ দেয় যে, কোন সৃষ্টিকর্তা ছিলেন (এবং আছেন) যিনি সমস্ত কিছু তৈরি করেছেন ও বজায় রেখেছেন৷ প্রকৃতি আমাদের প্রত্যেককে উচ্চঃস্বরে বলছে যে এই সমস্ত সৃষ্টির পিছনে অবশ্যই কোন অদ্ভুত শিল্পী আছেন:
আকাশ ঈশ্বরের মহিমা ঘোষণা করছে, আর আকাশ তুলে ধরছে তাঁর হাতের কাজ৷ দিনের পর দিন তাদের ভিতর থেকে বাণী বেরিয়ে আসে, আর রাতের পর রাত তারা ঘোষণা করে জ্ঞান৷ কিন্তু তাতে কোন শব্দ নেই, কোন ভাষা নেই, তাদের আওয়াজও কানে শোনা যায় না৷
জবুর শরীফ 19:1-3
আপনি দেখে থাকবেন, প্রতিটি মানুষের অন্তর-আত্মা এই বলে যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে; এবং তারা এও জানে যে এই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তাদের মনে শঙ্কা আছে:
কেননা ঈশ্বরের বিষয়ে যাহা জানা যাইতে পারে, তাহা তাহাদের মধ্যে প্রকাশিত আছে, কারণ ঈশ্বর তাহা তাহাদের কাছে প্রকাশ করিয়াছেন৷ ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাত্ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই৷
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 1:19,20
প্রশ্ন: আমাকে আপনার সাথে সম্মত হতে হবে কারণ আমি সুন্দর ফুল ও বিস্ময়কর জীব দেখেছি, আমিও কখনো কখনো ভাবতাম যে ঈশ্বর এই সকল জিনিষ সৃষ্টি করে থাকবেন; কিন্তু প্রায়ই আমার সামনে একটি হতবুদ্ধি করা প্রশ্ন এসে উপস্থিত হয় তে, এই "ঈশ্বর আসলে কে?" একাধিক ধর্ম দাবি করে তাদের ঈশ্বরই সত্য৷ সেইক্ষেত্রে, কোন ঈশ্বর সঠিক?
উত্তর: আপনি একটি চমত্কার প্রশ্ন করেছেন৷ এই বিশ্ব ধর্ম ও বিশেষ করে তাদের ঈশ্বরে পরিপূর্ণ এবং ঈশ্বরের স্বরূপের ব্যাপারেও তাদের মতভেদ ভিন্ন৷ কিন্তু বাইবেলে বলা হয়েছে যে আমরা এক এবং একমাত্র সত্য ঈশ্বরের অবশ্যম্ভাবিতা জানতে পারি:
আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়; আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; তুমি আমাকে না জানিলেও আমি তোমার কটি বন্ধ করিব; যেন সূর্যোদয়ের স্থানাবধি পশ্চিম দিক পর্যন্ত লোকে জানিতে পারে যে, আমি ব্যতীত অন্য নাই; আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়৷
যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 45:5,6
হে জাতিগণের মধ্য হইতে উত্তীর্ণ লোক সকল, তোমরা একত্র হইয়া আইস, একসঙ্গে নিকটে আইস, তাহারা কিছুই জানে না, যাহারা আপনাদের প্রতিমার কাষ্ঠ বহিয়া বেড়ায়, যাহারা এমন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে, যে পরিত্রাণ করিতে পারে না... আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; আমি ধর্মশীল ও ত্রাণকারী ঈশ্বর; আমি ব্যতীত অন্য নাই৷ হে পৃথিবীর প্রান্ত সকল, আমার প্রতি দৃষ্টি করিয়া পরিত্রাণ প্রাপ্ত হও, কেননা আমিই ঈশ্বর, আর কেহ নয়৷
যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 45:20-22
বাইবেলে ঘোষণা করা হয়েছে, যীশু খ্রীষ্টই হলেন একমাত্র সম্ভাব্য উদ্ধারক:
…নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের নামে,… আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নিচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হবে৷
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণ 4:10,12
প্রশ্ন: আপনি কি বলতে চান যীশুই ঈশ্বর?
উত্তর: হ্যাঁ! বাইবেলে স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে যে যীশুই বাইবেলের ঈশ্বর, যে মানুষের বেশে সুস্পষ্ট হয়েছে:
আদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের কাছে ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন… এবং সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন এবং আমাদের মধ্যে প্রবেশ করিলেন,…
যোহন 1:1,14
প্রশ্ন: যীশুকে কি "ঈশ্বরের পুত্র" বলা হয় না? এবং যদি তিনি পুত্র হন তাহলে তাঁর পিতা অবশ্যই থাকবেন৷ সুতরাং কতজন ঈশ্বর আছেন?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি সত্য যে যীশুকে "ঈশ্বরের পুত্র" বলা হয়৷ যদিও বাইবেলে নিঃসংশয়ে ঘোষণা করা হয়েছে যে যীশুই অনাদি ও অনন্ত ঈশ্বর৷ বাইবেলে এও বলা হয়েছে যে পরম পিতা অনাদি ও অনন্ত ঈশ্বর৷ সত্য হল, রক্ত-মাংসের মানুষের পক্ষে ঈশ্বরকে মানুষ রূপে কল্পনা করাও অত্যন্ত জটিল (কেননা আমাদের বুদ্ধি অত্যন্ত সীমিত):
কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন অনন্তকালস্থায়ী:
ইব্রীয়দের প্রতি পত্র 1:8
যদিও ঈশ্বর নিজেকে তিনজন ব্যক্তি রূপে প্রকাশ করেছেন, তবুও তিনি বার বার জোর দিয়ে বলেন তিনিই একমাত্র ঈশ্বর:
বস্তুতঃ তিনের সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে আত্মা ও জল ও রক্ত, এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই৷
যোহনের প্রথম পত্র 5:7
হে ইস্রায়েল শুন; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু একই সদাপ্রভু৷
দ্বিতীয় বিবরণ 6:4
প্রশ্ন: মনেহচ্ছে আপনি নিজের কথার সমর্থনে বাইবেলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ও তার উদ্ধৃতির উদাহরণ দিতে চান, কিন্তু আমি শুনেছি বাইবেল কয়েক জন মানুষের লেখা একটি পুরানো পুস্তক?
উত্তর: এটি ঠিক যে বাইবেল একটি পুরানো ধর্মগ্রন্থ, কিন্তু এটি নিশ্চিত রূপে মানুষের রচনা নয়৷ ঈশ্বর নিজের মুখ থেকে উচ্চারিত বাণী লিপিবদ্ধ করার জন্য ভবিষ্যদ্বক্তাদের বলেছিলেন৷ এইভাবে, ঈশ্বর নিজের বাণী মানব-জাতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই লোকগুলিকে লিপিকর হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন:
তবে সব কিছুর উপরে এই কথা মনে রেখো যে, পুস্তকের মধ্যেকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়৷ কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কথা বলেন নি; পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলেছেন৷
2 পিতর 1:20,21
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী:
তীমথিয়ের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র 3:16
এইরূপে, সমগ্র বাইবেল হল ঈশ্বরের বাণী৷ ঈশ্বরের প্রতিটি বাণী বিশুদ্ধ ও পবিত্র এবং পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য৷ ঘোষণা করা প্রতিটি বিষয়ের জন্য বাইবেল হল অন্তিম এবং চূড়ান্ত প্রমাণ৷
প্রশ্ন: সত্যি বলতে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না—যেহেতু আমি একজন খারাপ মানুষ নয়—সুতরাং আমার জন্য ঈশ্বরের প্রাণ দেওয়া কেন জরুরি?
উত্তর: এটি একটি ভয়ানক সত্য যে সমস্ত মানুষ পাপের ভাগীদার হয়ে গেছে ও ঈশ্বরের নিয়ম ভেঙেছে৷ আপনি দেখে থাকবেন, ঈশ্বরের আইনি পুস্তক, বাইবেল অনুসারে সমস্ত মানুষ পুরোপুরি অসত্ ও পাপী হয়ে গেছে:
সকলেই বিপথে গিয়াছে, তাহারা এক সঙ্গে অকর্মণ্য হইয়াছে; সত্কর্ম করে এমন কেহই নাই, একজনও নাই৷
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 3:12
অন্তঃকরণ সর্বাপেক্ষা বঞ্চক, তাহার রোগ অপ্রতিকার্য, কে তাহা জানিতে পারে?
যিরমিয় ভাববাদীর পুস্তক 17:9
ঈশ্বর নিখুঁত, সাধু ও পবিত্র—তিনি চান তাঁর ধর্মাদেশ যথাযথ পালন করা হোক৷ এর মধ্যে একটিও অমান্য করা হলে তাঁর ভয়াবহ ক্রোধ ভোগ করতে হবে:
কারণ যে কেহ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে, কেবল একটি বিষয়ে উছোট খায়, সে সকলেরই দায়ী হইয়াছে৷
যাকোবের পত্র 2:10
আমরা যদি নিজেদের প্রতি সত্ হই তাহলে, আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আমরা (প্রতিটি ব্যক্তির সাথে) পাপ করেছি:
আমরা যদি বলি যে, আমাদের পাপ নাই, তবে আপনারা আপনাদিগকে ভুলাই, এবং সত্য আমাদের অন্তরে নাই৷
যোহনের প্রথম পত্র 1:8
কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে;
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 3:23
…যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে৷
যিহিস্কেল 18:4
আমরা আগেই দেখেছি যে বাইবেলের নিয়ম অনুসারে পাপের দণ্ড হল মৃত্যু; এবং ঈশ্বর যে মৃত্যুর কথা বলছেন তা হল দ্বিতীয় মৃত্যু, যাতে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়ার পরে মানুষ সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যাবে৷
প্রশ্ন: আপনি কি সত্যিই মনে করেন, ঈশ্বর মানুষদের আগুনের হ্রদে ধ্বংস করে দেবেন?
উত্তর: হ্যাঁ৷ ঈশ্বরের কাছে পাপ অতিমাত্রায় জঘন্য৷ অনন্ত গুণে পবিত্র ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পাপ এতই জঘন্য কাজ যে তাঁর নিয়ম ভঙ্গকারীদের তিনি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবেন:
আর জীবন-পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল৷
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 20:15
কারণ দেখ, সেই দিন আসিতেছে, তাহা হাপরের ন্যায় জ্বলিবে, এবং দর্পী ও দুষ্টাচারীরা সকলে খড়ের ন্যায় হইবে; আর সেই যে দিন আসিতেছে, তাহা তাহাদিগকে পোড়াইয়া দিবে, ইহা বাহিনীগনের সদাপ্রভু কহেন; সে দিন তাহাদের মূল কি শাখা কিছুই অবশিষ্ট রাখিবে না৷
মালাখি ভাববাদীর পুস্তক 4:1
প্রশ্ন: আপকি কি বলতে চান নরকের দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে ধ্বংস করা হবে এবং সে সর্বদার জন্য অস্তিত্ব হারাবে?
উত্তর: এটি অপ্রীতিকর সত্য হলেও আমাদের বলতে হবে যে, এমনটিই হবে! বাইবেলে বলা হয়েছে, ঈশ্বরের দণ্ড প্রক্রিয়াতে এই জগতের সাথে এর মানব-জাতিকে ধ্বংস করা হবে৷ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ক্রোধের কারণে মানুষ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হবে:
কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ধ্বংস হয়ে যাবে; ঈশ্বরের শত্রুরা ক্ষেতের সৌন্দর্যের মত মিলিয়ে যাবে, মিলিয়ে যাবে ধোঁয়ার মত করে৷
জবুর শরীফ 37:20
কিন্তু প্রভুর দিন চোরের মত করে আসবে৷ সেই দিন আসমান হুহু শব্দ করে শেষ হয়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা সবই পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে৷ দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে তা সবই পুড়ে যাবে৷
2 পিতর 3:10
প্রশ্ন: ঈশ্বরের সম্পর্কে আপনার কথাগুলি আতঙ্কপূর্ণ৷ আমি ভাবতাম খ্রীষ্ট, প্রত্যেককে ভালোবাসে এমন দয়ালু ও কোমল হৃদয়ের ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখেন৷ আপনি যেমন বর্ণনা দিয়েছেন ঈশ্বর কি ঠিক তেমনই ভয়ংকর?
উত্তর: ঈশ্বর প্রেমপূর্ণ ও দয়ালু; কিন্তু তিনি পবিত্র এবং সাধুও আর নিজের ধারণাতে তৈরি করা লোকেরা তাঁর নিয়ম ভাঙলে তাদের দণ্ডও দেন৷ বাইবেলের প্রকৃত বিশ্বাসীরা অন্যদের সাবধান করতে পছন্দ করে, কেননা ঈশ্বরকে সত্যিই ভয় পেতে হবে:
অতএব প্রভুর ভয় কি, তাহা জানাতে আমরা মনুষ্যদিগকে বুঝাইয়া লওয়াইতেছি;…
করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র 5:11
সদাপ্রভু স্বগৌরব-রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর, তিনি প্রতিফলদাতা; সদাপ্রভু প্রতিফলদাতা ও ক্রোধশালী; সদাপ্রভু আপন বিপক্ষগণকে প্রতিফল দেন, আপন শত্রুগণের জন্য ক্রোধ সঞ্চয় করেন৷
নহূম ভাববাদীর পুস্তক 1:2
কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ৷
ইব্রীয়দের প্রতি পত্র 12:29
সদাপ্রভু কহেন তোমরা কি আমাকে ভয় করিবে না? আমার সাক্ষাতে কি কম্পমান হইবে না,…
যিরমিয় ভাববাদীর পুস্তক 5:22
আজকাল অনেক গীর্জাতে সকলের সাথে খুশি, স্মিত, বিনীত যীশুর দৃশ্য দেখা যায়৷ কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্নরূপে মিথ্যা৷ যীশু খ্রীষ্ট মানব-জাতির পাপের কারণে তাদের উপর ক্রুদ্ধ, এবং তিনিই অসাধুকে দোষী সাব্যস্ত করে সম্পূর্নরূপে ধ্বংস করার অন্তিম ঐশ্বরিক দণ্ডাদেশ দেবেন:
…ঈশ্বর, প্রতিদিন দুষ্টদের উপর নিজের ক্রোধ প্রকট করেন৷
জবুর শরীফ 7:11
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর৷
মথি লিখিত সুসমাচার 10:28
প্রশ্ন: এর থেকে আমি বুঝতে পারছি যেকোনভাবে আমাকে নরকের শাস্তি থেকে বাঁচতে হবে৷ কিন্তু চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য আমায় কি করতে হবে?
উত্তর: প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে মানব-জাতির পরিস্থিতি ভালো নয়৷ আমরা নিজেদের পাপের কারণে, অনুতাপ ও বিশ্বাস করার সুসমাচারের ডাকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিক্রিয়া জানানোর মত অবস্থায় নেই৷ আমরা আধ্যাত্মিকরূপে মৃত, আর সেই কারণে এমন কোনো কাজ করার মত অবস্থায় নেই যার মাধ্যমে আমরা মুক্তি পেতে পারি:
আর যখন তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদিগকেও জীবিত করিলেন:
ইফিষীয়দের প্রতি পৌলের পত্র 2:1
…কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না৷
গালাতীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 2:16
বাস্তবে, বাইবেলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, নিজের কর্মের দ্বারা মুক্তি লাভ করা মানুষের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ একমাত্র ঈশ্বরই কোন পাপীকে মুক্তি দিতে পারেন:
ইহা শুনিয়া শিষ্যেরা অতিশয় আশ্চর্য মনে করিলেন, কহিলেন, তবে কাহার পরিত্রাণ হইতে পারে? যীশু তাঁহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, তাহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে, কিন্তু ঈশ্বরের সকলই সাধ্য৷
মথি লিখিত সুসমাচার 19:25,26
প্রশ্ন: আপনি বলতে চান আমি যা কিছুই করি না কেন তার পরেও আমার দ্বংস নিশ্চিত৷ কোনও আশা কি নেই?
উত্তর: হ্যাঁ, আশা অবশ্যই আছে৷ কিন্তু তা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে৷ আপনাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সমস্ত কর্ম তাঁকেই করতে হবে:
কারণ ঈশ্বর জগত্কে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়৷
যোহন 3:16
কিন্তু যতলোক তাঁহাকে গ্রহণ করিল, সেই সকলকে, যাহারা তাঁহার নামে বিশ্বাস করে তাহাদিগকে, তিনি ঈশ্বরের সন্তান হইবার ক্ষমতা দিলেন৷ তাহারা রক্ত হইতে নয়, মাংসের ইচ্ছা হইতে নয়, মানুষের ইচ্ছা হইতেও নয়, কিন্তু ঈশ্বর হইতে জাত৷
যোহন 1:12,13
প্রশ্ন: ঈশ্বর কতৃক লোকেদের উদ্ধার করার বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না৷ তারা কারা যাদের উপর তিনি দয়া করেন? আর তাঁর দয়া পাওয়ার জন্য আমায় কি করতে হবে?
উত্তর: ঈশ্বর নিজের পছন্দ অনুসারে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন৷ শুধুমাত্র নিজের সুবুদ্ধির ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে তিনি এখান সেখান থেকে লোকেদের বাছেন৷ মানুষের ভালো কর্ম তাকে উদ্ধার করে না, পরিবর্তে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সম্পূর্ণ করা কর্মের কারণেই তার মুক্তি হয়:
কারণ তিনি জগত্পত্তনের পূর্বে খ্রীষ্টে আমাদিগকে মনোনীত করিয়াছিলেন, যেন আমরা তাঁহার সাক্ষাতে প্রেমে পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক হই; তিনি আমাদিগকে যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আপনার জন্য দত্তকপুত্রতার নিমিত্ত পূর্ব হইতে নিরূপণও করিয়াছিলেন; ইহা তিনি নিজ ইচ্ছার হিতসঙ্কল্প অনুসারে, নিজ অনুগ্রহের প্রতাপের প্রশংসার্থে করিয়াছিলেন৷
ইফিষীয়দের প্রতি পৌলের পত্র 1:4,5
তোমরা যে আমাকে মনোনীত করিয়াছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদিগকে মনোনীত করিয়াছি; আর আমি তোমাদিগকে নিযুক্ত করিয়াছি…
যোহন 15:16
(যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নাই, এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নাই, তখন- ঈশ্বরের নির্বাচনানুরূপ সঙ্কল্প যেন স্থির থাকে, কর্ম হেতু নয়, কিন্তু আহ্বানকারীর ইচ্ছা হেতু - তাঁহাকে বলা গিয়াছিল;) যেমন লিখিত আছে, "আমি যাকোবকে প্রেম করিয়াছি, কিন্তু এষৌকে অপ্রেম করিয়াছি৷"
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 9:11,13
প্রশ্ন: ঈশ্বর যদি আমাকে উদ্ধার করার জন্য বাছেন তাহলে আমি তা কীভাবে জানতে পারব?
উত্তর: আপনি ঈশ্বরের পছন্দ করা (নির্বাচনা করা) লোকেদের একজন হতে পারেন, আবার নাও হতে পারেন—একমাত্র ঈশ্বরই জানেন, কাদের তিনি উদ্ধার করতে চান; সুতরাং "নির্বাচন"-এর বিষয়টি ঈশ্বরের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ কিন্তু আমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা অবশ্যই করতে পারি৷ ঈশ্বর আমাদের, তাঁর সামনে বিনম্রভাবে (আমাদের পাপ ও তাঁর ক্রোধের কারণ হওয়ার জন্য আমাদের নিজেদের অবস্থা স্বীকার করে) ক্ষমা প্রর্থনা করার অনুমতি দিয়েছেন:
কিন্তু করগ্রাহী দূরে দাঁড়াইয়া স্বর্গের দিকে চক্ষু তুলিতেও সাহস পাইল না, বরং সে বক্ষে করাঘাত করিতে করিতে কহিল, হে ঈশ্বর, আমার প্রতি, এই পাপীর প্রতি দয়া কর৷
লূক লিখিত সুসমাচার 18:13
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই৷
ইব্রীয়দের প্রতি পত্র 4:16
পাপীদের শরীরধারী ঈশ্বরের দ্বারা উত্সাহিত হওয়া উচিত৷ তিনি কৃপাময় ঈশ্বর৷ ঈশ্বর আমাদের দয়া ভিক্ষা করার অনুমতি দিয়েছেন৷ যেভাবে বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, ঠিক সেইভাবেই আমরা, স্বর্গের মহিমাময় রাজার সামনে নিজেদের পাপ ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য (শুধুমাত্র যীশুর জন্য) মিনতি করতে পারি:
…তিনি চিরকাল ক্রোধ রাখেন না, কারণ তিনি দয়ায় প্রীত৷
মীখা ভাববাদীর পুস্তক 7:18
সে যখন শুনিতে পাইল, তিনি নাসরতীয় যীশু, তখন চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হে যীশু, দায়ূদ-সন্তান, আমার প্রতি দয়া করুন৷ তখন অনেক লোক তাহাকে চুপ চুপ বলিয়া ধমক দিল; কিন্তু সে আরও অধিক চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হে দায়ূদ-সন্তান আমার প্রতি দয়া করুন৷
মার্ক 10:47,48
যীশু অন্ধ ভিখারীর দয়ার প্রার্থনা শুনে তাকে শারীরিক দৃষ্টি প্রদান দেন৷ এর থেকে আমরা জানতে পারি, যীশু পাপীদের প্রতি অধিক দয়ালু ও কৃপাময়৷
প্রশ্ন: তাহলে দয়া ভিক্ষা চাইলে কি আমি বিনাশ থেকে মুক্তি পাব?
উত্তর: আমাদের সাবধান থাকতে হবে৷ মুক্তি পাওয়ার জন্য কোন সূত্র নেই৷ এটি সম্পূর্ণরূপে তার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল:
কারণ তিনি মোশিকে বলেন, "আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব; ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব৷"
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 9:15
প্রশ্ন: আমি ঈশ্বরের কাছে যাব ও দয়া ভিক্ষা করব৷ ঈশ্বরের কাছ থেকে জবাব পেতে কত সময় লাগবে?
উত্তর: বন্ধু, আমরা ঈশ্বরের উপর কোন সময়সীমা প্রয়োগ করতে পারি না৷ ঈশ্বর, সময় হলে এবং নিজের পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেন (এমনটি করা যদি তাঁর সুবুদ্ধির ইচ্ছানুসারে হয় তাহলে):
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষায় আছি, আমার অন্তর তাঁর অপেক্ষায় আছে, আমি তাঁর বাণীতে আশা রেখেছি৷
জবুর শরীফ 130:5
সদাপ্রভুর পরিত্রাণের প্রত্যাশা করা, নীরবে অপেক্ষা করা, ইহাই মঙ্গল৷
যিরমিয়ের বিলাপ 3:26
মালিকের হাতের দিকে যেমন গোলামদের চোখ থাকে আর বাঁদীদের চোখ থাকে বেগম সাহেবার হাতের দিকে, তেমনি আমাদের চোখ থাকবে আমাদের সদাপ্রভু ঈশ্বরের দিকে, যতদিন না তিনি আমাদের দয়া করেন৷
জবুর শরীফ 123:2
ঈশ্বর কতৃক উদ্ধার কার্য হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে৷ কিন্তু আপনার মুক্তির জন্য প্রভুর অপেক্ষা করার সময় সচেতন থাকবেন যে, মুক্তি হল একটি অত্যন্ত দরকারী বিষয়৷ এর কারণ হল, কখন আমাদের মৃত্যু হবে তা আমরা কেউই জানি না৷ হতে পারে আমাদের কাছে খুব অল্প সময় আছে৷ বাইবেলের প্রকৃত বিশ্বাসীরা এও জানে যে প্রভু যীশু খ্রীষ্টর ফিরে আসা ও এই জগতের বিনাশে আর বেশি সময় বাকি নেই৷
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় খুব শীঘ্রই পৃথিবীর বিনাশ হবে?
উত্তর: হ্যাঁ! আমরা দেখব প্রভু 21শে মে 2011-তে ফিরে আসবেন এবং পৃথিবীর বিনাশ 21শে অক্টোবর 2011-তে ঘটবে:*
কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে৷ পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাত্ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব৷ অতএব তোমরা এই সকল কথা বলিয়া এক জন অন্য জনকে সান্ত্বনা দেও৷
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র 4:16-18
পরে সেই দূত, যাঁহাকে আমি সমুদ্রের উপরে ও স্থলের উপরে দাঁড়াইতে দেখিয়াছিলাম, তিনি স্বর্গের প্রতি আপন দক্ষিন হস্ত উঠাইলেন, আর যিনি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, …আর বিলম্ব হইবে না৷
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 10:5,6
প্রশ্ন: এর অর্থ সময় সত্যিই খুব কম আছে?
উত্তর: হ্যাঁ আপনি ঠিক বুঝেছেন, পৃথিবীতে জীবিত থাকার জন্য মানুষের কাছে আর বেশি সময় নেই৷ কিন্তু এটিও জেনে রাখুন যে, পাপীকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের খুবই অল্প সময় লাগে, এর উদাহরণ, আমরা দেখেছি কীভাবে যীশু আমাদের চোখের সামনে ক্রুসে থাকা অবস্থায় চোরকে উদ্ধার করেছিলেন:
পরে সে কহিল, যীশু আপনি যখন আপন রাজ্যে আসিবেন, তখন আমাকে স্মরণ করিবেন৷ তিনি তাহাকে কহিলেন, আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি, অদ্যই তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে৷
লূক লিখিত সুসমাচার 23:42,43
প্রশ্ন: আমি কি খ্রিস্টান গীর্জাতে গিয়ে ধার্মিক অনুষ্ঠান করা শুরু করব এবং ঈশ্বর আমাকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করব?
উত্তর: একেবারেই না! চার্চ যুগ সমাপ্ত হওয়ার কারণে, ঈশ্বর পৃথিবীর গীর্জা এবং ধার্মিক জমায়েত ত্যাগ করেছেন৷ আজ আমরা এমন ঘোর-বিপত্তির সম্মুখীন যখন ঈশ্বরের দণ্ড সকল সম্প্রদায়ের লোকেদের ভোগ করতে হবে—সে ক্যাথলিক হোক বা প্রোটেস্ট্যান্ট—সারা বিশ্বের সকল গীর্জাকে, ঈশ্বরের বাণী না মানার জন্য ঈশ্বরের দণ্ড ভোগ করতে হবে:
কেননা ঈশ্বরের গৃহে বিচর আরম্ভ হইবার সময় হইল;…
পিতরের প্রথম পত্র 4:17
বাস্তবে, ঈশ্বর সমস্ত খ্রীষ্টানদের গীর্জার বাইরে আসার আদেশ দিয়েছেন:
অতএব যখন দেখিবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার্হ বস্তু দানিয়েল ভাববাদী দ্বারা উক্ত হইয়াছে, তাহা পবিত্র স্থানে দাঁড়াইয়া আছে, (যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক) তখন যাহারা যিহূদিয়াতে থাকে, তাহারা পাহাড় অঞ্চলে পলায়ন করুক;
মথি লিখিত সুসমাচার 24:15,16
আজকাল, ঈশ্বর, গীর্জার ভিতরের কাউকেই উদ্ধার করেন না৷ এই কারণে আজ খ্রীষ্টানরা গীর্জায় যাওয়া পছন্দ করে না৷ কিন্তু তিনি আমাদের প্রার্থনা দিবসে গীর্জার বাইরের অসংখ্য লোককে উদ্ধার করছেন:
ইহার পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না,… …ইহারা সেই লোক, যাহারা সেই মহাক্লেশের মধ্য হইতে আসিয়াছে, এবং মেষশাবকের রক্তে আপন আপন বস্ত্র ধৌত করিয়াছে, ও শুক্লবর্ণ করিয়াছে৷
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 7:9,14
প্রশ্ন: আমি যদি খ্রীষ্টান গীর্জাতে না যাই তবে কিভাবে মুক্তি পাব?
উত্তর: ঈশ্বর বাইবেলের মাধ্যমে নিজের মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন৷ সেই কারণে আমাদের যতবার সম্ভব বাইবেল পড়তে হবে৷ তাতে যাকিছু বলা হয়েছে তার যথাসম্ভব আজ্ঞা পালক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে৷ কেননা ঈশ্বর তাঁর বাণী শোনানো লোকেদের উদ্ধার করেন:
আত্মাই জীবনদায়ক, মাংস কিছু উপকারী নয়; আমি তোমদিগকে যে সকল কথা বলিয়াছি, তাহা আত্মা ও জীবন৷
যোহন 6:63
অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়৷
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 10:17
আমি তোমার নির্দেশ কত ভালবাসি! সারা দিন আমি তা ধ্যান করি৷
জবুর শরীফ 119:97
ঈশ্বর কি সত্যিই আমাদের পাপের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন তা আমরা বাইবেল পড়ে জানতে পারব৷ হতে পারে, ঈশ্বর, এই পুস্তিকাতে পাওয়া শাস্ত্র ব্যবহার করে নিজের মুক্তির পরিকল্পনা অনুসারে আপনাকে ক্রুসবিদ্ধ করে সম্পূর্ণ আশীর্বাদ দেবেন৷
*মে 2011-তে ঈশ্বরের নির্বাচিত লোকেদের ভাব-সমাধি আর অক্টোবর 2011-তে এই জগতের অন্তিম বিনাশের বিষয়ে আরও জানার জন্য, দয়া করে নীচের তালিকাবদ্ধ উপায়গুলির একটির মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:
ইন্টারনেটে লাইভ ফেলোশিপের জন্য আমাদের সাথে সংযুক্ত হন – দেখুন:
আমাদের ওয়েব-সাইটের "ইন্টারনেট ব্রডকাস্ট"-এর মাধ্যমে সরাসরি শুনুন বা নিঃশুল্ক পলটক নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন৷ আপনি EBible Fellowship-এ টোল-ফ্রি নম্বর 1-877-897-6222 (কেবল আমেরিকাতে)-এ কল করতে পারেন৷
আপনি এখানে কোনো বার্ত, প্রশ্ন বা মন্তব্য লিখতে পারেন:
www.ebiblefellowship.com/contactus .
অথবা আমাদের এই ঠিকানাতে লিখতে পারেন:
EBible Fellowship, P.O. Box 1393, Sharon Hill, PA 19079 USA
DGDFY-2008.10.23-BN