|
শেষ বিচারের দিন!
|
|
উহাদিগকে বধ করিবার অনুমতি নয়, কেবল পাঁচ মাস পর্যন্ত যাতনা দিবার অনুমতি তাহাদিগকে দত্ত হইল; তাহাদের আঘাতে বৃশ্চিকাহত মনুষ্যের যাতনাতুল্য যাতনা হয়৷ যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 9:5 |
|
বিশ্বের সমাপ্তি
|
এই পুস্তিকার উদ্দেশ্য হল, আপনাকে এই বিষয়টি জানানো যে, এই সময়ে ঈশ্বরের স্মরণে যাওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রত্যেকের জন্য তাড়াহুড়ো করা সময় এসে গেছে৷ বাইবেল, ঈশ্বরের বাণী! বাইবেলে ঘোষণা করা সমস্ত কিছুর সম্পূর্ণ প্রমাণ, স্বয়ং ঈশ্বর৷ এখন, এই অবস্থায়, বাইবেল থেকে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যাতে শেষ বিচারের দিনের ব্যাপারে ঈশ্বরের পরিকল্পনা এবং পৃথিবীর বিনাশ স্পষ্টরূপে প্রকাশ করা হয়েছে৷ বাইবেলে, ইতিহাসের সময় রেখার ব্যাপারে গোপন তথ্য এখন প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই তথ্য এখন পর্যন্ত জানতে পারা যায়নি কারণ ঈশ্বর, বিশ্বের সমাপ্তির বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার প্রচেষ্টাকে সফল হতে না দিয়ে নিজের বাণীকে বন্ধ রেখে ছিলেন৷ নবীদের পুস্তক: দানিয়ালে এই বিষয়টি বলা হয়েছে:
নবীদের পুস্তক: দানিয়াল 12:9 জবাবে তিনি বললেন, দানিয়াল, তুমি এই বিষয় নিয়ে আর চিন্তা কোরো না, কারণ শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই সব কথা বন্ধ করে সীলমোহর করে রাখা হয়েছে৷
কিন্তু, এখন এই সময়, নিজের বাণী প্রকট করে (বাইবেল), ঈশ্বর, জগতের বিনাশ হওয়ার সময়ের (এবং আরও অনেক উপদেশ) ব্যাপারে মহান সত্যের প্রকাশ করেছেন৷ সাথে সাথে, নবীদের পুস্তক: দানিয়েলের একই অধ্যায়ে এমন বলা হয়েছে:
নবীদের পুস্তক: দানিয়াল 12:4 কিন্তু তুমি, দানিয়াল, শেষ সময় না আসা পর্যন্ত এই ভবিষ্যদ্বাণীর পুস্তকটি বন্ধ করে তার কথাগুলো সীলমোহর করে রাখ৷ সেই সময়ের মধ্যে অনেকে যেখানে-সেখানে যাবে এবং জ্ঞানের বৃদ্ধি হবে৷
যেহেতু আমরা পৃথিবী ধ্বংসের শেষ সময়ে এসে উপস্থি হয়েছি তাই ঈশ্বর এখন নিজের বাণী প্রকট করা শুরু করেছেন৷ এই কারণে, বাইবেলের গুরুগম্ভীর ছাত্রের কাছে এটি পুরোপুরি সুস্পষ্ট যে আমরা এখন এই পৃথিবীর ইতিহাসের অন্তিম দিন গুলিতে জীবনযাপন করছি৷ বাস্তবে, যেহেতু আমরা এখন পৃথিবীর অন্তিম সময়ে জীবনযাপন করছি তাই, ঈশ্বর এখন নিজের লোকেদের কাছ এই তথ্য প্রকট করছেন:
ঈশ্বর, বাইবেলের পৃষ্ঠাতে পাওয়া "বাইবেল-সংক্রান্ত ক্যালেন্ডার"-এর সম্বন্ধে নিজের লোকেদের বোঝাচ্ছেন৷ উত্পত্তি গ্রন্থের বংশানুক্রমে বিশেষ করে অধ্যায় 5 ও 11-তে, এই বিশ্বের মানব-জাতির ইতিহাসের সঠিক ক্যালেন্ডার দেখানো যেতে পারে৷ বাইবেলের ইতিহাস ক্যালেন্ডার পুরোপুরি সঠিক ও বিশ্বাসভাজন৷
যেহেতু বাইবেল-সংক্রান্ত ক্যালেন্ডার, ঈশ্বর নিজের বাণীতে উল্লেখ করেছেন তাই, এটির উপরে আন্তরিকভাবে নির্ভর করা যেতে পারে৷ এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাটিতে, আমরা, বাইবেল-সংক্রান্ত ক্যালেন্ডার থেকে এবং ধর্মগ্রন্থের অন্যান্য অধ্যয়ন থেকে পাওয়া কিছু উপসংহার আপনার সাথে ভাগ করতে চায়৷ কিন্তু, উপলভ্য তথ্য এত বেশি ও জটিল যে এই ছোট পুস্তিকাটিতে সমস্ত কিছু দেওয়া সম্ভব নয়; তা সত্ত্বেও আমরা সঠিক ও বিশ্বাসভাজন তারিখ দিতে পারি এবং অবশ্যই দেব৷ এই তারিখগুলির উপর সম্পূর্নরূপে নির্ভর করা যেতে পারে কারণ এগুলি বাইবেলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ (ই-বাইবেল ফেলোশিপের ফ্যামিলি রেডিওর সাথে কোন সম্বন্ধ নেই; কিন্তু আমরা সুপারিশ করছি যে আপনি এই ঠিকানাতে: Family Stations, Inc., 290 Hegenberger Rd., Oakland, CA 94621 USA, চিঠি লিখে “We Are Almost There!” পপুস্তকটির একটি বিনামূল্য অনুলিপি সংগ্রহ করুন৷ এই পুস্তকটিতে শেষ বিচারের দিন ও পৃথিবী ধ্বংসের সময়ের বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দেওয়া আছে৷ এছাড়াও, আপনি www.familyradio.com থেকে “We Are Almost There!” অনলাইন পড়তে বা ডাউনলোড করতে পারেন)৷
11,013 খ্রীষ্ট পূর্ব—সৃষ্টি৷ ঈশ্বর জগত্ ও মানুষ (আদম ও হবা) সৃষ্টি করেছেন৷
4990 খ্রীষ্ট পূর্ব—নোহর সময়ের বন্যা৷ সারা বিশ্ব-ব্যাপী বন্যাতে সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দেয়৷ কেবলমাত্র নোহ, তাঁর পত্নী ও তার তিন পুত্র ও তাদের পত্নীরা জাহাজের মধ্যে বেঁচে যায় (সৃষ্টি থেকে 6023 বছর)৷
7 খ্রীষ্ট পূর্ব—প্রভু যীশুর জন্ম হয়েছিল (সৃষ্টি থেকে 11,006 বছর)৷
33 খ্রীষ্টাব্দ—এই বছর যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয় ও চার্চ যুগের শুরু হয় (সৃষ্টি থেকে 11,045 বছর; বন্যার পর থেকে 5023 ক্যালেন্ডার বছর)৷
1988 খ্রীস্টাব্দ—এই বছরে চার্চ যুগ সমাপ্ত হয়েছে এবং 23 বছর কঠোর দুর্দশার সময় শুরু হয়েছে (সৃষ্টি থেকে 13,000 বছর)৷
1994 খ্রীস্টাব্দ—7ই সেপ্টেম্বর, কঠোর দুর্দশার প্রথম 2300 দিন পূর্ণ হয়েছে এবং পরের বর্ষা শুরু হয়েছে, চার্চের বাইরে প্রার্থনাকারী ব্যাপক সংখ্যার মানুষকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনার সূচনা হয়েছে (সৃষ্টি থেকে 13,006 বছর)৷
2011 খ্রীস্টাব্দ—21শে মে, শেষ বিচারের দিন শুরু হবে এবং কঠোর দুর্দশার 23-বছরের শেষে ভাব-সমাধি (ঈশ্বর নিজের নির্বাচিত লোকেদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়া) শুরু হবে৷ 21শে অক্টোবর, সমগ্র পৃথিবী আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে (বন্যর পর থেকে 7000 বছর; সৃষ্টি থেকে 13,023 বছর)৷
ঈশ্বরের সন্তান বাইবেল থেকে শিখেছে যে আদিপুস্তক 7-এর ভাষার দুই ধরণের অর্থ প্রকাশ পায়:
আদিপুস্তক 7:4 কেননা সাত দিনের পর আমি পৃথিবীতে চল্লিশ দিবারাত্র বর্ষাইয়া আমার নির্মিত যাবতীয় প্রাণীকে ভূমন্ডল হইতে উচ্ছিন্ন করিব৷
আমরা যদি ঐতিহাসিক দৃষ্টি থেকে দেখি তাহলে, যখন ঈশ্বর এই বাণী প্রকট করেন তখন জাহাজের সুরক্ষাতে পৌঁছানোর জন্য নোহ, তার পরিবার ও জীবজন্তুদের কাছে সাত দিন সময় বাকি ছিল; কিন্তু আধ্যাত্মিক দৃষ্টি থেকে দেখলে (এবং বাইবেল একটি আধ্যাত্মিক গ্রন্থ), ঈশ্বর পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে সম্বোধন করে ঘোষণা করছিলেন যে প্রভু যীশুর মুক্তি-শরণস্থলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পাপী মানব-জাতির 7000 বছর লাগবে৷ আমরা এটি কীভাবে জানতে পারি? 2 পিতর, অধ্যায় 3 পাঠ করে আমরা এটি জানতে পারি:
2 পিতর 3:6-8 তখনকার সেই দুনিয়া বন্যার জলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ আর ঈশ্বরের সেই একই বাণীর দ্বারা এখনকার আসমান ও দুনিয়া আগুনে পুড়িয়ে দেবার জন্য রাখা হয়েছে; ঈশ্বরের প্রতি ভয়হীন লোকেদের বিচার ও ধংসের দিন পর্যন্ত তা রক্ষা করা হচ্ছে৷ কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, এই কঠাটা ভুলে যেয়ো না যে, প্রভুর কাছে এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান৷
2 পিতর 3-এর প্রসঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ! প্রথম কিছু শ্লোকে, ঈশ্বর আমাদের নোহর সময়ের বন্যাতে পৃথিবী ধ্বংসের প্রসঙ্গ বলেন৷ তারপরে, আমরা দেখি যে একটি গভীর সতর্কতা দেওয়া হয় যে, আমরা যেন 1 দিন 1000 বছরের সমান এবং 1000 বছর 1 দিনের সমান হওয়ার বিষয়টিকে "উপেক্ষা" না করি৷ এই সামান্য তথ্যের ঠিক পরেই বর্তমান পৃথিবীর আগুনে পুড়ে ধ্বংস হওয়ার সুস্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া হয়েছে৷
1 দিনকে 1000 বছরের সমান হওয়ার কথা বলে ঈশ্বর আমাদের কী বোঝাতে চান?
আমরা সাম্প্রতিক, বাইবেলের পৃষ্ঠা থেকে বাইবেলের ইতিহাস ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছি, এতে আমরা দেখি যে নোহর সময়ের বন্যা, 4990 খ্রীষ্ট পূর্ব ঘটেছিল৷ এই তারিখটি পুরোপুরি সঠিক (বাইবেল সম্বন্ধীয় ইতিহাসের সময় রেখার ব্যাপারে আরও তথ্যের জন্য, দেখুন: www.familyradio.com)৷ 4990 খ্রীষ্ট পূর্বে ঈশ্বর নোহর কাছে ব্যক্ত করেন যে পৃথিবী জলমগ্ন হতে আর 7 দিন সময় লাগবে৷ এখন যদি আমরা প্রত্যেক 7 দিনকে 1000 বছরের সমান ধরি তাহলে, 7000 বছর হয়৷ এবং যখন আমরা 4990 খ্রীষ্ট পূর্ব থেকে শুরু করে ভবিষ্যত 7000 বছরের হিসাব করি তখন আমরা পাই যে সাল 2011 খ্রীস্টাব্দ হল সেই বছর৷
4990 + 2011 = 7001
দ্রষ্টব্য: বাইবেলের পূর্বভাগ হতে নতুন ভাগে তারিখ গণণা করার সময় সর্বদা এক বছর বাদ দিন কারণ কোন শূন্য বছর নেই, ফলস্বরূপ:
4990 + 2011 – 1 = ঠিক 7000 বছর৷
সাল 2011 খ্রীস্টাব্দ, নোহর সময়ের পর থেকে 7000তম বছর হবে৷ এটি সেই বছর যখন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করার জন্য মানব-জাতিকে দেওয়া সময় সমাপ্ত হয়ে যাবে৷ এর অর্থ এই যে, প্রভু যীশুর শরণস্থলে আশ্রয় লাভ করার জন্য খুবই কম সময় বাকি আছে৷ আমরা সাল 2011 খ্রীস্টাব্দের খুবই কাছাকাছি আছি!
এটি কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় যে ঈশ্বরের লোকেদের পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সময়ের ব্যাপারে জানানো হয়েছে৷ বাস্তবে, বাইবেলে বলা হয়েছে এটি একটি সামান্য ব্যাপার৷ এর আগেও বেশ কয়েক বার, ঈশ্বর শেষ বিচারের দিন এগিয়ে আসার ব্যাপারে নিজের লোকেদের সাবধান করেছেন:
আমোষ ভাববাদীর পুস্তক 3:7 নিশ্চয়ই প্রভু সদাপ্রভু আপনার দাস ভাববাদিগণের নিকটে আপন গূঢ় মন্ত্রণা প্রকাশ না করিয়া কিছুই করেন না৷
ইব্রীয়দের প্রতি পত্র 11:7 বিশ্বাসে নোহ, যাহা যাহা তখন দেখা যাইতেছিল না, এমন বিষয়ে আদেশ পাইয়া ভক্তিযুক্ত ভয়ে আবিষ্ট হইয়া আপন পরিবারের ত্রাণার্থে এক জাহাজ নির্মাণ করিলেন, এবং তদ্দ্বারা জগত্কে দোষী করিলেন ও আপনি বিশ্বাসানুরূপ ধার্মিকতার অধিকারী হইলেন৷
আমরা জানি যে সাল 2011, বন্যার দিন থেকে 7000তম বছর৷ আমরা এও জানি যে এই বছরেই, ঈশ্বর এই পৃথিবী ধ্বংস করে দেবেন৷ কিন্তু 2011-তে এই ঘটনা কখন ঘটবে?
এর জবাব পরম বিস্ময়কর৷ আসুন আমরা আদিপুস্তকে বন্যার ঘটনাটিতে আর একবার নজর দিই:
আদিপুস্তক 7:11 নোহের বয়সের ছয় শত বত্সরের দ্বিতীয় মাসের সপ্তদশ দিনে মহাজলধির সমস্ত উনুই ভাঙ্গিয়া গেল, এবং আকাশের বাতায়ন সকল মুক্ত হইল৷
নিজের কথা অনুযায়ী, ঈশ্বর, নিশ্চিতরূপে 600তম বছরের 7 দিন পরে, নোহর জীবনকালের অনুরূপ ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাসের 17তম দিনে বন্যা এনেছিলেন৷ দ্বিতীয় মাসের এই 17তম দিনে, ঈশ্বর জাহাজের দরজা বন্ধ করে দেন, যার ফলে জাহাজে থাকা সমস্ত লোকেরা সুরক্ষিত হয়ে যায় ও জাহাজের বাইরের জগতে থাকা প্রত্যেকের ভবিষ্যত অন্ধকারে পড়ে যায়৷ এখন সেই সমস্ত লোকেরা, বিশ্বজুড়ে হওয়া সর্বনাশে নিশ্চিতরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে৷
আদিপুস্তক 7:16,17 ফলতঃ তাঁহার প্রতি ঈশ্বরের আজ্ঞা অনুসারে সমস্ত প্রাণীর স্ত্রীপুরুষ প্রবেশ করিল৷ পরে সদাপ্রভু তাঁহার পশ্চাতের দ্বার বন্ধ করিলেন৷ আর চল্লিশ দিন পর্যন্ত পৃথিবীতে জলপ্লাবন হইল; তাহাতে জল বৃদ্ধি পাইয়া জাহাজ ভাসাইলে তাহা মৃত্তিকা ছাড়িয়া উঠিল৷
এর আগে উল্লেখ করা হয়েছিল যে চার্চ যুগ, সাল 1988 খ্রীস্টাব্দে সমাপ্ত হয়েছে৷ ঘটনাক্রমে চার্চের যুগ, সাল 33 খ্রীস্টাব্দে পেন্তকোস্তের দিন (22শে মে) শুরু হয়েছিল৷ তারপর 1955 বছর পরে চার্চ যুগ 21শে মে সমাপ্ত হয়েছে যা 1988-র পেন্তকোস্তের আগের দিন ছিল৷
বাইবেলে শেখানো হয়েছে যে চার্চ যুগ কঠোর দুর্দশা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সমাপ্ত হবে:
মিথি লিখিত সুসমাচার 24:21 কেননা তত্কালে এই রূপ "মহাক্লেশ উপস্থিত হইবে, যেরূপ জগতের আরম্ভ অবধি এই পর্যন্ত কখনও হয় নাই, কখনও হইবেও না৷
21শে মে 1988 থেকে, ঈশ্বর জগতের গির্জা ও ধার্মিক সমাবেশের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন৷ ঈশ্বরের আত্মা, সমস্ত গির্জা ত্যাগ করেছেন ও সঙ্গে সঙ্গে পাপী শয়তান গির্জাতে প্রবেশ করে সেখানে নিজের বিধান চালানো শুরু করেছে৷ বাইবেলে আমাদের শেখানো হয়েছে যে বিনাশের ছায়া গির্জাতে 23 বছর থাকবে৷ সম্পূর্ণ 23 বছর (ঠিক 8400 দিন)-এর সময় সীমা, 21শে মে, 1988 থেকে 21শে মে, 2011 পর্যন্ত হবে৷ এই তথ্য বাইবেলে থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে, যা বন্যা থেকে 7000 বছর সংক্রান্ত তথ্যে পুরোপুরি অতিরিক্ত৷ এই কারণে, আমরা দেখি যে পূর্ণ 23 বছরের দুর্দশা পর্ব 21শে মে, 2011-তে সম্পূর্ণ হবে৷ ঠিক ঐ তারিখে কঠোর দুর্দশার সমাপ্তি হবে এবং সম্ভবত ঐ দিনই নোহর সময়ের বন্যার দিনের সাথে 7000 বছরের সময়ের মিলন ঘটবে৷
আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে ঈশ্বর নোহর ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাসের 17তম দিনে জাহাজের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ সাথে আমরা এটিও দেখি যে 21শে মে, 2011-তে কঠোর দুর্দশার পর্ব সমাপ্ত হয়ে যাবে৷ নোহর ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাস ও 17তম দিন তথা আমাদের আধুনিক ক্যালেন্ডারের 21শে মে 2011-র মধ্যে একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক আছে৷ বিবেচনাযোগ্য আর একটি ক্যালেন্ডার খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক সহজে দৃষ্টিগোচর হবে না, এই ক্যালেন্ডারটি হল ইহুদি (বা বাইবেল-সম্পর্কিত) ক্যালেন্ডার৷ 21শে মে, 2011, ইহুদি ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাসের 17তম দিন৷ এইভাবে ঈশ্বর আমাদের এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে দিচ্ছেন যে, বন্যার 7000-বছরের সময় রেখার ব্যাপারে আমাদের বিচারবুদ্ধি পুরোপুরি সঠিক৷ 21শে মে 2011 তারিখ, ঠিক সেই তারিখের সমতূল্য যেদিন ঈশ্বর নোহর জাহাজের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ এর মাধ্যমে এবং বাইবেল সম্পর্কিত অন্যান্য অনেক তথ্যের সহায়তায় আমরা পাই যে 21শে মে, 2011 হল সেই দিন, যখন ঈশ্বর নিজের নির্বাচিত লোকেদের স্বর্গে নিয়ে যাবেন৷ 21শে মে, 2011 শেষ বিচারের দিন হবে! এটি হল সেই দিন যখন ঈশ্বর জগতের জন্য উদ্ধার হওয়ার দরজা বন্ধ করে দেবেন৷
অর্থাত্, সেই দিন, যা নোহর ক্যালেন্ডারের দ্বিতীয় মাসের 17তম দিন, কঠোর দুর্দশার সময় সমাপ্ত করে ঈশ্বর, নিসন্দেহে আমাদের এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে দিচ্ছেন যে ওই দিনই তিনি স্বর্গের প্রবেশ দ্বার সর্বদার জন্য বন্ধ করে দিতে চান:
যোহন 10:9 আমি দরজা: যদি কেউ আমার দ্বারা ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে সে উদ্ধার পাবে, এবং বাইরে ও ভিতরে আসা যাওয়া করতে থাকলে চারণ পাবে৷
বাইবেলে পুরোপুরি স্পষ্ট করা হয়েছে যে স্বর্গে প্রবেশ করার দ্বার স্বয়ং প্রভু যীশু৷ উনি, স্বর্গের অপরূপ রাজ্যে প্রবেশ পাওয়ার একমাত্র দ্বার:
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণ 4:12 আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে৷
শেষ বিচারের দিনে দরজা (যীশু) এক বার বন্ধ হলে, পৃথিবীতে মুক্তির আর কোনও সম্ভাবনা থাকবে না:
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 3:7 …যিনি পবিত্র, যিনি সত্যময়, যিনি "দায়ূদের চাবি ধারণ করেন, যিনি খুলিলে কেহ রুদ্ধ করে না, ও রুদ্ধ করিলে কেহ খুলে না," তিনি এই কথা কহেন;
বাইবেলে শেখানো হয়েছে যে 21শে মে, 2011-তে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঈশ্বর দ্বারা নির্বাচিত কেবলমাত্র প্রকৃত বিশ্বাসকারীদের স্বর্গে প্রভুর সাথে সাক্ষাতের জন্য ও অনন্তকালব্যাপী তাঁর সাথে থাকার জন্য এই পৃথিবী থেকে ভাব সমাধি (স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হবে) দেওয়া হবে:
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্র 4:16,17 কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে৷ পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাত্ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সাথে মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব৷
মানব জাতির অবশিষ্ট লোকেদের (অগনিত লোকদের) পিছনে ফেলে রাখা হবে যাতে তারা ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর বিচারের, পৃথিবীতে 5 মাস ব্যাপী ভয়ানক বিপত্তির অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারে:
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 9:3-5 পরে ঐ ধূম হইতে পঙ্গপাল বাহির হইয়া পৃথিবীতে আসিল, আর তাহাদিগকে পৃথিবীস্থ বৃশ্চিকের ক্ষমতার ন্যায় ক্ষমতা দত্ত হইল৷ আর তাহাদিগকে বলা হইল, পৃথিবীস্থ তৃণের কি হরিদ্বর্ণ শাকের কি কোন বৃক্ষের হানি করিও না, কেবল সেই মনুষ্যদেরই হানি কর, যাহাদের ললাটে ঈশ্বরের মুদ্রাঙ্ক নাই৷ উহাদিগকে বধ করিবার অনুমতি নয়, কেবল পাঁচ মাস পর্যন্ত যাতনা দিবার অনুমতি তাহাদিগকে দত্ত হইল; তাহাদের আঘাতে বৃশ্চিকাহত মনুষ্যের যাতনাতূল্য যাতনা হয়৷
নিজের অনুগ্রহ ও অসীম কৃপার কারণে, ঈশ্বর আমাদের, আগে থেকেই সতর্ক করে দিচ্ছেন যে উনি কি করতে চলেছেন৷ 21শে মে, 2011, শেষ বিচারের দিনে, পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত জীবের জন্য, এই 5-মাস ব্যাপী ভয়ানক সময় শুরু হবে৷ 21শে মে তারিখে ঈশ্বর, এখন পর্যন্ত যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদেরকে তাদের কবর থেকে তুলে জীবিত করবেন৷ সমস্ত পৃথিবী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এবং পৃথিবী নিজের মৃতদের লুকাতে পারবে না (যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 26:21)৷ উদ্ধার হওয়া লোকেদের মত মৃত লোকেরা, জীবিত হয়ে উঠবে এবং প্রভুর কাছে থাকার জন্য সঙ্গে সঙ্গে এই পৃথিবী ছেড়ে দেবে৷ উদ্ধার না হয়েই যাদের মৃত্যু হয়েছিল তারাও জীবিত হয়ে উঠবে কিন্তু জীবন রহিত শরীর নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে ইতস্ত বিক্ষিপ্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে৷ প্রত্যেক স্থানে কেবলমাত্র মৃত্যুরই দর্শন হবে৷
সাথে সাথে প্রভু, আদিপুস্তকের 7 অধ্যায়ের অন্তিম স্তবকে 5 মাসের বিনাশপূর্ণ ভয়ানক সময়ের বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন:
আদিপুস্তক 7:24 আর জল পৃথিবীর উপরে এক শত পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত প্রবল থাকিল৷
21শে মে 2011-র পর পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলে 21শে অক্টোবর, 2011 আসবে৷ ঘটনাক্রমে, 21শে অক্টোবর, 2011-ই বাইবেল সম্বন্ধী ভজনালয় উত্সবের অন্তিম দিন (যা শস্য সংগ্রহের উত্সবের সাথেই পালন করা হয়)৷ ভজনালয় উত্সব, ইহুদি ক্যালেন্ডারের 7ম মাসে পালন করা হয়৷ এই উত্সবের ব্যাপারে ঈশ্বরের বাণী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
যাত্রাপুস্তক 23:16 …আর বত্সরের শেষে ক্ষেত্র হইতে ফল সংগ্রহকরণ কালে ফলসঞ্চয়ের উত্সব পালন করিও৷
যাত্রাপুস্তক 34:22 তুমি সাত সপ্তাহের উত্সব, অর্থাত্ কাটা গমের আশুপক্ক ফলের উত্সব, এবং বত্সরের শেষে ফলসংগ্রহের উত্সব পালন করিবে৷
যদিও ভজনালয় বা শস্য সংগ্রহের উত্সব ইহুদি 7ম মাসে পালন করা হয়, যা বছরের শেষ নয়, তা সত্বেও বলা হয়ে থাকে এই উত্সব "বছরের শেষে" পালন করা হয়৷ এর কারণ হল, এই বিশেষ উত্সবের আধ্যাত্মিক পরিণতি হল জগতের বিনাশ৷ 21শে অক্টোবর, 2011 ভজনালয় উত্সবের ও সাথে সাথে পৃথিবীর অস্তিত্বেরও অন্তিম দিন হবে৷ 21শে অক্টোবর, 2011-তে কী ঘটতে চলেছে, সেই বিষয়ে বাইবেলে এই ধরণের বার্তা দেওয়া হয়েছে:
2 পিতর 3:10 কিন্তু প্রভুর দিন চোরের মত করে আসবে৷ সেই দিন আকাশ হু হু শব্দ করে শেষ হয়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা সবই পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে৷ পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা সবই পুড়ে যাবে৷
সমস্ত বিশ্ব ও সৃষ্টির সাথে ঈশ্বরের বাণীকে অস্বীকার করে পাপের ভাগীদার হওয়া ও এইভাবে পিছনে ফেলে যাওয়া সমস্ত লোকেরা আগুনের গ্রাসে আসবে ও চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে:
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র 1:8,9 এবং যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমুচিত দণ্ড দিবেন৷ তাহারা প্রভুর মুখ হইতে ও তাঁহার শক্তির প্রতাপ হইতে অনন্ত কালস্থায়ী বিনাশরূপ দন্ড ভোগ করিবে, ইহা সেই দিন ঘটিবে;
21শে অক্টোবর, 2011-তে ঈশ্বর এই সৃষ্টি ও তার সাথে সেই সমস্ত লোকেদের, যারা প্রভু যীশুর কাছ থেকে উদ্ধার হননি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেবেন৷ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গিয়ে করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য, তাদের চিরস্থায়ীভাবে জীবন হারাতে হবে৷ 21শে অক্টোবর, 2011-থেকে পরবর্তী সময়ে এমন সমস্ত হতভাগ্য লোকেদের আর অস্তিত্ব থাকবে না৷ সত্যিই, এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি যে ঈশ্বরের ছবিতে তৈরি হওয়া অভিজাত ব্যক্তি জন্তুর মত মারা যাবে ও সর্বদার জন্য ধ্বংস হবে:
জবুর শরীফ 49:12 কিন্তু মানুষ ধনী-মানী হয়েও চিরস্থায়ী নয়; সে পশুদের মতই ধ্বংস হয়ে যাবে৷
আপনার সাথে ভাগ করার জন্য এমন অনেক বিষয় আছে৷ কিন্তু আমার প্রিয় আত্মা, এই বিষয়ে সতর্ক হন যে উদ্ধার হওয়ার জন্য আর বেশি সময় বাকি নেই৷ ঈশ্বর, বিশ্বকে বন্যার দিন থেকে 7000 বছর দিয়েছেন এবং 21শে মে 2011-তে পৌঁছোতে এখন আর মাত্র কয়েকটি দিনই বাকি আছে৷ আমরা এটি জানতে পারার আগে, বালি ঘড়ির সময় আর বাকি থাকবে না এবং তা সর্বদার জন্য শেষ হয়ে যাবে৷ যদিও আর বেশি সময় বাকি নেই তথাপি প্রত্যেকের জন্য আজও আশার আলো আছে:
করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় পত্র 6:2 (কেননা তিনি কহেন, "আমি প্রসন্নতার সময়ে তোমার প্রার্থনা শুনিলাম, এবং পরিত্রাণের দিবসে তোমার সাহায্য করিলাম"৷ দেখ, এখন সুপ্রসন্নতার সময়; দেখ, এখন পরিত্রাণের দিবস৷)
কাউকে উদ্ধার করতে চাইলে, ঈশ্বরের তাতে বেশি সময় লাগবে না৷ পাপে পরিপূর্ণ জীবনের অন্তিম সময়ে চোরকে প্রভু যীশু ক্রুশে বাঁচিয়েছিলেন:
লূক লিখিত সুসমাচার 23:42,43 পরে সে কহিল, যীশু আপনি যখন আপন রাজ্যে আসিবেন, তখন আমাকে স্মরণ করিবেন৷ তিনি তাহাকে কহিলেন, আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি, অদ্যই তুমি পরদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে৷
আমরা প্রার্থনা করি আপনি, এই পুস্তকটিকে ঠিক সেই আবেগের সাথে গ্রহণ করুন যেভাবে আমরা এটিকে পেশ করছি৷ এটি পড়ার সময়, দয়া করে বাইবেল থেকে উদ্ধৃত করা পঙ্ক্তিগুলি বিবচনা করুন, কারণ এগুলি ঈশ্বরের বাণী ও এই কারণে এগুলিতে পরম শক্তি ও প্রভুত্ব আছে৷ উদ্ধার হওয়ার জন্য আমাদের একমাত্র আশা হল আপনি, ঈশ্বরের বাণীগুলি পাঠ করুন৷ এই সময়ে ঈশ্বর, গির্জা ও ধার্মিক সমাবেশের বাইরের জগতে উপাসনারত অসংখ্য মানুষকে উদ্ধার করছেন:
যোহনের নিকটে প্রকাশিত বাক্য 7:9,13,14 ইহার পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না; তাহার সিংহাসনের সম্মুখে ও মেষ শাবকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; তাহারা শুল্কবস্ত্র পরিহিত, ও তাহাদের হস্তে খর্জুর-পত্র; …পরে প্রাচীনবর্গের মধ্যে একজন আমাকে কহিলেন, শুল্কবস্ত্র পরিহিত এই লোকেরা কে ও কোথা হইতে আসিল? আমি তাঁহাকে বলিলাম, হে আমার প্রভু, তাহা আপনিই জানেন৷ তিনি আমাকে কহিলেন, ইহারা সেই লোক, যাহারা সেই মহাক্লেশের মধ্য হইতে আসিয়াছে, এবং মেষশাবকের রক্তে আপন বস্ত্র ধৌত করিয়াছে ও শুক্লবর্ণ করিয়াছে৷
ঈশ্বর, কেবল সেই লোকেদেরই উদ্ধার করেন যারা তাঁর বাণী শোনেন এবং অন্যভাবে উদ্ধার হওয়ার কোন উপায় নেই:
রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র 10:17 অতএব বিশ্বাস শ্রবণ হইতে এবং শ্রবণ খ্রীষ্টের বাক্য দ্বারা হয়৷
আপনি নিজের পরিবারের সাথে (বিশেষ করে সন্তানদের সাথে) বাইবেল পড়ুন এবং পড়ার সাথে সাথে কৃপা প্রার্থনা করতে ভুলবেন না৷ ক্ষমাপরায়ণ এবং দয়াময়, বাইবেলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আপনাকে আগামী বিধ্বংসী ঘটনা থেকে রক্ষা করেন৷ আমরা যোনার পুস্তক থেকে ঈশ্বরের অসীম কৃপার সম্বন্ধে কিছুটা তথ্য জানতে পারি৷ ঈশ্বর নীনবীর লোকেদের তাদের শহর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন:
যোনা ভাববাদীর পুস্তক 3:4-9 পরে যোনা নগরে প্রবেশ করিতে আরম্ভ করিয়া এক দিনের পথ গেলেন, এবং ঘোষণা করিলেন, বলিলেন, আর চল্লিশ দিন গত হইলে নীনবী উত্পাটিত হইবে৷ তখন নীনবীয় লোকেরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করিল; তাহারা উপবাস ঘোষণা করিল, এবং মহান হইতে ক্ষুদ্র পর্যন্ত সকলে চট পরিধান করিল৷ আর সেই বার্তা নীনবী-রাজের নিকটে পৌঁছিলে তিনি আপন সিংহাসন হইতে উঠিলেন, গাত্রের শাল রাখিয়া দিলেন, এবং চট পরিধান করে ভস্মে বসিলেন৷ আর তিনি নীনবীতে রাজার ও তাঁহার অধক্ষ্যগণের আদেশে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে প্রচার করাইলেন, মনুষ্য ও গোমেষাদি পশু কেহ কিছু আস্বাদন না করুক, ভোজন কি জল গ্রহণ না করুক; কিন্তু মনুষ্য ও পশু চট পরিধান করিয়া যথাশক্তি ঈশ্বরকে ডাকুক আর প্রত্যেক জন আপন আপন কুপথ ও আপন আপন হস্তস্থিত দৌরাত্ম্য হইতে ফিরুক৷ হয় ত ঈশ্বর ক্ষান্ত হইবেন, অনুশোচনা করিবেন, ও আপন প্রজ্বলিত ক্রোধ হইতে নিবৃত্ত হইবেন, তাহাতে আমরা বিনষ্ট হইব না৷
ঈশ্বর নীনবীর লোকেদের ধ্বংস করেননি৷ যদিও এমন কোন সম্ভাবনা নেই যে ঈশ্বর, 2011-তে জগতের বিনাশ করা থেকে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন, তবুও, নীনবীর লোকেদের সাথে তাঁর ব্যবহার থেকে আমরা এটি জানতে পারি যে ঈশ্বর ক্ষমাপরায়ণ এবং দয়াময়৷ এই দৃষ্টান্ত আমাদের উত্সাহিত করে যে আমরা ঈশ্বরের স্মরনে গিয়ে তাঁর কাছে কৃপা ভিক্ষা করি৷
জবুর শরীফ 86:15,16 কিন্তু হে প্রভু, তুমি মমতাময় পূর্ণ দয়াময় ঈশ্বর; তুমি সহজে রেগে উঠ না, তোমার অটল কৃপা ও বিশ্বস্ততার সীমা নেই৷ তুমি আমার দিকে ফেরো এবং আমাকে দয়া কর…
অধিক তথ্যের জন্য দেখুন:
আমাদের ওয়েব-সাইটের "ইন্টারনেট ব্রডকাস্ট"-এর মাধ্যমে সরাসরি শুনুন বা নিঃশুল্ক পলটক নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন৷ আপনি EBF-এ টোল-ফ্রি নম্বর 1-877-897-6222 (কেবল আমেরিকাতে)-এ কল করতে পারেন৷
আপনি এখানে কোনো বার্তা দিতে, প্রশ্ন বা মন্তব্য করতে পারেন:
www.ebiblefellowship.com/contactus .
অথবা আমাদের এই ঠিকানাতে লিখতে পারেন:
EBible Fellowship, P.O. Box 1393, Sharon Hill, PA 19079 USA
May21_2009.08.10-Bn